Walton Bangladesh ও এর চমক পণ্য ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর!

 ভূমিকা

বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় অন্যতম কোম্পানি ওয়ালটন এর চমকপ্রদ পণ্য এবং এর গল্প সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই নিবন্ধটি শুরু করা। আজকের এই প্রবন্ধে ওয়ালটন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ইলেকট্রনিক্স ও অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পের অবদানের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করব। এর সাথে ওয়ালটন বাংলাদেশের ইতিহাস, এর বৈচিত্রময় পণ্য, স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা, ভোক্তা সন্তুষ্টি এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব, আশা করি আপনারা সাথেই থাকবেন।

প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণ

বর্তমানের ওয়ালটন বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধু WALTON ওয়ালটন নামে পরিচিত। দেশের শীর্ষস্থানীয় এই কোম্পানি খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এই কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং এখন পর্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, অটোমোবাইল সহ আরো অনেক পণ্য ভোক্তাদের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করে থাকে। ওয়ালটন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন এস এম নূরুল আলম রেজভী একজন স্বপ্নদ্রষ্টা উদ্যোক্তা, যিনি বাংলাদেশের মানুষকে অবিরত সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলেন। উদ্ভাবন শৈলী ও মান সম্পন্ন পণ্যের সরবরাহের মাধ্যমে জাতিকে ক্ষমতায়ন করার সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ওয়ালটন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল।

WALTON প্রতিষ্ঠা লাভ করার সাথে সাথে তাদের পণ্যের পরিষেবা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে প্রসারিত করেছে, যাতে বিভিন্ন ধরনের ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স পণ্য যেমন টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, মোবাইল ফোন এবং আরো অনেক পণ্য এর সাথে অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়া এই কোম্পানির অটোমোবাইল শিল্প, মোটরসাইকেল এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন ইত্যাদি তৈরি ও সেগুলো বাজারজাত করার জন্য বর্তমানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এই প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি তাদের প্রারম্ভিক বছরগুলিতে বিখ্যাত সব আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ভোগ্যপণ্য আমদানি ও বিতরণের দিকে বেশি তৎপর ছিল। বর্তমানে নিজস্ব পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে সেগুলো বাজারজাতকরণের জন্য এই কোম্পানি বর্তমান অর্থনৈতিক বাজারে বিশেষ স্থান দখল করেছে। এই ব্যবসায়িক সুনাম ওয়ালটন বাংলাদেশকে একটি উল্লেখযোগ্য মার্কেট শেয়ার দখল করতে এবং এক নির্ভরযোগ্য ও উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি করতে সাহায্য করেছে।

বাজার অনুপ্রবেশ এবং বৃদ্ধি কৌশল

দেশের সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা এবং এক্সেস যোগ্যতার উপর ফোকাস করে ওয়ালটন বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে বাংলাদেশের শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামীণ পর্যায়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বাজার সম্প্রসারণ করেছে যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। এদের নিজস্ব ব্রান্ডের আউটলেটের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যাতে তাদের পণ্যগুলি সারাদেশে গ্রাহকদের কাছে খুব সহজেই উপস্থাপন করা যায়। এছাড়া এদের বিপণন কৌশল বাস্তবায়ন এবং নিজস্ব কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত কৌশলের কারণে ওয়ালটন বাংলাদেশ খুব দ্রুততার সাথে বাজার সম্প্রসারণ এবং বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

পণ্য উদ্ভাবন ও সরবরাহ

ওয়ালটন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সকল ধরনের ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পণ্য সামগ্রী ভোক্তাদের নিকট সরবরাহ করার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে খুব সহজেই ভোক্তারা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারে। প্রযুক্তিগতভাবে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী যেমন ভোক্তাদের জন্য গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি প্রযুক্তি পণ্যগুলো বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সফলভাবে উদ্ভাবন ও সেগুলো সরবরাহ করে আসছে। গুণগতমান এবং ক্রয়-ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই সকল পণ্যগুলি ব্যাপকভাবে ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। WALTON তাদের পণ্যের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের উপর জোর দেওয়ার কারণে হয়তো দ্রুত বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এই সফলতার অন্য আরেকটি কারণ হলো গবেষণা এবং উন্নয়নে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করা। এই অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য গুলির সাথে খাপ খাইয়ে ওয়ালটন এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে।

দেশের অর্থনীতিতে ওয়ালটন বাংলাদেশের গুরুত্ব

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ওয়ালটন বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। দেশের একটি বৃহৎ বেকার সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেওয়া এটি একটি উল্লেখযোগ্য অবদান। একটি শক্তিশালী ম্যানুফ্যাকচারিং বেস এবং একটি বৃহৎ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক বেকারত্বের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তি জীবন ও জীবিকার উন্নতি সাধন করেনি, বরং জাতির সার্বিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এছাড়া দেশের উৎপাদন খাতে ওয়ালটন বাংলাদেশের ভূমিকা অপরিসীম। শিল্প পণ্য উৎপাদন করে স্থানীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে, ওয়ালটন বাংলাদেশ আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করছে এবং দেশীয় পণ্য উৎপাদন খাতকে শক্তিশালী করেছে। এর ফলে নিজস্ব পণ্য উৎপাদনে দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না।

এছাড়া ওয়ালটন বাংলাদেশের সামগ্রিক কার্যক্রম একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করেছে। স্থানীয় সরবরাহকারী এবং নির্মাতাদের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করেছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে একটি প্রবল প্রভাব তৈরি করেছে। স্থানীয়ভাবে পণ্য উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে ওয়ালটন বাংলাদেশ স্থানীয় শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে এবং বাংলাদেশের একটি টেকসই সাপ্লাই চেইন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সাহায্য করছে।

বাংলাদেশী বাজারের চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিযোগিতা

ওয়ালটন দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের মতই বাংলাদেশের বাজারে তার নিজস্ব চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামগত সীমাবদ্ধতা, সরকারি নীতি এবং ভোক্তাদের মধ্যে মূল্য সংবেদনশীলতা। এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে ওয়ালটন বাংলাদেশ ক্রমাগত উন্নত কৌশল, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং অর্থের বিনিময়ে মূল্যবান পণ্য সরবরাহের উপর মনোযোগ দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি শিল্প উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশ ওয়ালটন বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় শেয়ার বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাজারে ওয়ালটন এর অবস্থানকে ধরে রাখতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী এবং গ্রাহক কেন্দ্রিক পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করে সরবরাহ অব্যাহত রাখতে প্রতিষ্ঠানটি সর্বদাই সচেষ্টা।

গবেষণা এবং উন্নয়নে ওয়ালটন

ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ওয়ালটন গবেষণা ও উন্নয়নের বিষয়টাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করে। তারা উদ্ভাবন চালাতে পণ্যের গুণগত মান উন্নতকরণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রবর্তনের জন্য এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করে থাকে। একটি নিরবিচ্ছিন্ন উদ্ভাবন সংস্কৃতি গড়ে তোলে ওয়ালটন নিশ্চিত করতে চায় যে, তারা শিল্পের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা, বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ক্ষমতা এবং উচ্চাভিলাসী সম্প্রসারণ পরিকল্পনার সাথে ওয়ালটন বাংলাদেশ একটি সফল ভবিষ্যতের জন্য সর্বদাই প্রস্তুত। তারা শুধু ইলেকট্রনিক্স ও অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পের উদ্ভাবক নয় বরং এমন একটি কোম্পানি, যারা বাজার এবং পরিবেশের যত্ন নিয়ে থাকে। উপসংহারে বলা যায়, ওয়ালটন বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে স্থানীয় অর্থনীতি এবং দেশের শিল্পে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগী হিসেবে প্রমাণিত। এই কোম্পানি যেহেতু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এবং তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে, কাজেই এর ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এবং গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের সাথে প্রতিশ্রুতি শীল, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। ওয়ালটন বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অভিযোজন ক্ষমতা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করে যে, এটি একটি চরম সাফল্যের বাতিঘর এবং বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যবসার জন্য একটি অনুপ্রেরণা বটে।

ওয়ালটন বাংলাদেশের চমক কি WALTON রেফ্রিজারেটর?

হ্যাঁ, অনেকের মতে উত্তরে বলা যায় অবশ্যই ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর, ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি চমক পণ্য। এই পণ্যের চাহিদা রেফ্রিজারেটর বাজারে তুলনামূলকভাবে কম নয়। ক্রয় ক্ষমতা ও সহজ সরবরাহের কারণে এই পণ্য শহর অঞ্চল থেকে শুরু করে দেশের গ্রামাঞ্চলে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

Walton Bangladesh ও এর চমক পণ্য ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর! 

Walton Bangladesh এর জনপ্রিয় পণ্য গুলির মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স, রেফ্রিজারেটর, সকল ধরনের ফ্যান, টিভি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল ইত্যাদি। এই সকল পণ্য গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য হলো ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় এই ইলেকট্রনিক্স পণ্যটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের গ্রাহকদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গুণগত মান এবং ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় ওয়ালটন উদ্ভাবিত এই পণ্যটি দেশের জনগণের কাছে ওয়ালটনের চমক পণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি দেশের শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে মফস্বল গ্রাম এলাকাতেও পৌঁছে গেছে। আমরা এ পর্যায়ে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর এর জনপ্রিয় মডেলের কয়েকটি এবং মূল্য জেনে নেব। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কেনার সময় সেফটি হিসাব করে থাকেন। এই সেফটি হিসাব করতে গিয়ে অনেকেই কাঙ্খিত রেফ্রিজারেটর ক্রয় করা থেকে বঞ্চিত হন। এই ক্ষেত্রে সেফটি হিসাব না করে Gross Volume ও নেট ভলিউম দেখে কেনা ভালো উত্তম। কারণ বেশিরভাগ কোম্পানি গ্রস ভলিউম ও নেট ভলিউম হিসেবে রেফ্রিজারেটরের ধারণ ক্ষমতা নির্ণয় করে। তারপরেও যদি কেউ সেফটি হিসাব করতে চান সেই ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে রেফ্রিজারেটরের ধারণক্ষমতা হিসাব করতে পারেন।

এক সেফটি সমান ২৮.৩২ লিটার, সুতরাং

৮সেফটি ×২৮.৩২ লিটার=২২৬.৫৬ লিটার

এভাবেই আপনারা রেফ্রিজারেটরের সেফটি হিসাব করে নিতে পারবেন। তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, এই হিসাব অনুযায়ী রেফ্রিজারেটরের প্রকৃত ধারণক্ষমতা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। এ কারণেই বর্তমানে সেফটি হিসাব করার পরিবর্তে অনেক কোম্পানি Gross Volume/লিটার ও Net Volume/ লিটার হিসাব করে থাকে। 

জনপ্রিয় মডেলের কয়েকটি রেফ্রিজারেটর

walton এর সবচেয়ে জনপ্রিয় রেফ্রিজারেটর গুলোর মধ্যে রয়েছে-

ছোট পরিবারের জন্য Frost রেফ্রিজারেটর

মডেল- WFD-1B6-GDEL-xx Frost Refrigerator




Type- Direct Cool
Gross Volume-132 Ltr
Net Volume- 129 Ltr
Refrigerant-R600a

Price- Tk26,990.00


মাঝারি পরিবারের জন্য আপনার WFE-2H2-GDXX-XX এই মডেলটি পছন্দের হতে পারে-

মডেল- WFE-2H2-GDXX-XX

Type- Direct Cool
Gross Volume- 282 Ltr
Net Volume- 265 Ltr
Refrigerant-R600a

Price- Tk41,490.00


বাংলাদেশ ওয়ালটনের রয়েছে ডাবল ডোর রেফ্রিজারেটর, যা অন্যান্য কোম্পানির চাইতে সাশ্রয়ী মূল্যে আপনি ওয়ালটন ডবল ডোর রেফ্রিজারেটর ক্রয় করে নিতে পারবেন। এজন্য হতে পারে WNI-6A9-GDNE-DD মডেলের রেফ্রিজারেটরটি আপনার পছন্দের।

মডেল- WNI-6A9-GDNE-DD


Type- Non-Frost
HCFC free: Cyclopentane
Gross Volume- 591 Ltr(V.0303)
Net Volume- 548 Ltr(V.0303)
CFC free: R600A

Price- Tk111,990.00


এছাড়া আপনি ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের রেফ্রিজারেটর কিনতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়ালটনের অফিসিয়াল সাইট ভিজিট করে নিতে পারেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়ালটনের নিজস্ব শোরুমে গিয়ে আপনার পছন্দের মডেলের রেফ্রিজারেটরটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

শেষ কথা

স্থানীয় বাজারে Walton Bangladesh ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখে বর্তমানে দেশের একটি সুপার ব্র্যান্ড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এইটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্থানীয় অর্থনীতি এবং দেশের মানুষের সামাজিক জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। ওয়ালটন বাংলাদেশ যেহেতু সকল ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে, সুতরাং এটি স্পষ্ট যে এর ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, গবেষণা ও উন্নয়ন ইত্যাদি এটিকে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিতে পরিণত করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ওয়ালটন উচ্চাভিলাসী সম্প্রসারণ পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি অব্যাহত রেখে কোম্পানিকে আরো শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন