ভূমিকা
বাংলাদেশের মধ্যে রেফ্রিজারেটর এর সবচেয়ে বড় প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান এবং বাজারে যাদের সর্বোচ্চ শেয়ার রয়েছে সে প্রতিষ্ঠানটি হল ওয়ালটন বাংলাদেশ। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের মধ্যে একটি এবং অর্থনীতিতে রয়েছে একটি শক্তিশালী প্রভাব। দেশীয় ফ্রিজের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটি ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিশেষ করে ওয়ালটন এসি, বৈদ্যুতিক ফ্যান, প্রেসার কুকার, রাইস কুকার ইত্যাদি প্রস্তুত করে থাকে, যার জনপ্রিয়তাও খারাপ নয়। আজকে ওয়ালটন বাংলাদেশের তেমনি একটি ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করব; সেটি হচ্ছে ওয়ালটন টেলিভিশন। বিনোদনের জন্য ওয়ালটনের এই ইলেকট্রিক পণ্য বর্তমানে দেশের বাজার ছাপিয়ে এখন রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সহজ লভ্যতা এবং দামে সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে ওয়ালটন টেলিভিশনের চাহিদা গ্রাম অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। আজকে আমরা ওয়ালটন টিভির বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং বাজার মূল্য নিয়ে আলোচনা করব।
ওয়াল্টন বাংলাদেশের পথচলা
বাংলাদেশ ওয়ালটন তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে আজকে অনেক দূর এগিয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ক্রয় সাধ্যের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে আসার স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকভাবে তার উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গুণগতমান এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রতি অনবদ্য মনোনিবেশের মাধ্যমে ওয়ালটন বাংলাদেশ তার সাফল্য গাথা পথচলা তৈরি করেছে।
ওয়ালটন বাংলাদেশ দেশের প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এর উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্যগুলি বিস্তৃত বাজার পরিসরে অগণিত গ্রাহকদের নিকট আস্থা স্থাপন ও বিশ্বস্ততা ইতিমধ্যে অর্জন করতে পেরেছে।
এছাড়া walton ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন উদ্ভাবন ওয়ালটন বাংলাদেশ একটি অন্যতম অত্যাশ্চর্য অঙ্গীকার। উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং সর্বশেষ প্রযুক্তিতে পরিপূর্ণ এই স্মার্টফোনগুলি ব্যবহারকারীদের কাছে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। হাই রেজুলেশন ক্যামেরা সম্পন্ন অত্যাশ্চর্য ছবি তোলা, নিরবিচ্ছিন্ন কথা বলা, ওয়ালটন বাংলাদেশের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে একটি নতুন চমক।
আবার জটিল গ্রাফিক্স ডিজাইন করা হোক বা উচ্চ মানের ভিডিও স্ট্রিম করা হোক; বাংলাদেশের আর একটি ইলেকট্রনিক পণ্য ওয়ালটন ল্যাপটপ বর্তমানে দেশের কম্পিউটার বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উন্নত পারফরমেন্স এবং বহুমুখী ডিভাইস ব্যবহার যাদের বেশি পছন্দ, তাদের জন্য ওয়ালটন বাংলাদেশের ল্যাপটপ একটি শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি পণ্য। অত্যাধুনিক প্রসেসর এবং পর্যাপ্ত স্টোরেজ স্পেস সমন্বিত ওয়ালটন ল্যাপটপগুলো ব্যবহারকারীদের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত উভয় কাজেই মোকাবেলা করতে সক্ষম। এছাড়া আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং টেকসই বিল্ডআপ কোয়ালিটি ওয়ালটন ল্যাপটপ গুলো আধুনিক বিশ্বের চাহিদা পূরণ করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
ওয়ালটন বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রাইস ২০২৩
আপনি যদি ওয়ালটন এলইডি টিভি অথবা ওয়ালটন স্মার্ট টিভি এর একজন গ্রাহক হতে চান, তাহলে ১৫,৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০,৯৯০ টাকা এর মধ্যে বিভিন্ন মডেলের ওয়ালটন ব্রান্ডের ওয়ালটন টিভি ক্রয় করে নিতে পারবেন। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
Buy here- Walton WD-EF32hg1 (813mm) HD Android TV
Price TK-26,900
Android 9.0 -screen Size:813mm(32” Screen size)
Aspect ratio: 16.9
Resolution:1366 X 768
Viewing angle:H 1780/V 1780
Contrast ratio:400.1(Typical)
Buy here- Walton W32D120 (813mm) 32-inch LED TV
Price TK-20,500
Screen size 813mm(32” Screen)
Aspect ratio: 16.9
Resolution: 1366 X 768
Viewing angle: H 1780 /V1780
Buy here- WD24RA (610mm) Solar/Adapter TV
Price TK-15,300
Solar voltage: 10-19V
AC voltage: 110-240V
Screen size: 610mm(24” Screen)
Aspect ratio: 16.9, 4.3
Resolution: 1366 X 768
Viewing angle: H 1780/ V1780
Contrast: 3000:1
এছাড়া আপনি ওয়ালটন বাংলাদেশের যেকোনো মডেলের এলইডি টিভি, এলইডি স্মার্ট টিভি কিনতে চাইলে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট এ গিয়ে আপনার পছন্দ মতো যেকোনো টিভি কিনে নিতে পারবেন। আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে WALTON Bangladesh এর শোরুমের মাধ্যমে আপনি ওয়ালটন টিভি ক্রয় করতে পারবেন।
ওয়ালটন বাংলাদেশের আরো কিছু পণ্য
Walton বৈদ্যুতিক ফ্যান
ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক ফ্যান গুলোর মধ্যে রয়েছে সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান এবং ওয়াল ফ্যান। ওয়ালটন ফ্যানের গুণগত মান সাধারণত অন্যান্য ফ্যানের চাইতে অনেক ভালো বলেই বিবেচিত হয়। এই বৈদ্যুতিক ফ্যান গুলো নির্মাণের সময় বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিবেচনা করা হয়-
প্রথমতঃ ফ্যানের বডি এবং পাখা উচ্চ মানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। দ্বিতীয়তঃ ফ্যানের মটর শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী গুন সম্পন্ন হয়ে থাকে। তৃতীয়তঃ ওয়ালটন ফ্যানের বাতাস টেকসই এবং ঠান্ডা হয়।
এছাড়া ওয়ালটন বৈদ্যুতিক ফ্যানের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা তাদের গুণগত মান কে আরো উন্নত করে তোলে। যেমন ওয়ালটন বৈদ্যুতিক ফ্যানের সমস্ত মডেলেই রয়েছে অ্যারোডাইনামিক বডি ডিজাইন, যা বাতাস প্রবাহকে গতিময় করে তোলে। এছাড়া ওয়ালটন ফ্যানের অনেক মডেলে আছে থার্মোস্ট্যাট সুইচ, যা ফ্যানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
Walton প্রেসার কুকার
ওয়াল্টন রান্না কাজের জন্য প্রেসার কুকার তৈরি করে থাকে। এই ব্র্যান্ডের প্রেসার কুকার গুলো বিশেষ যত্ন করে তৈরি করা হয় এবং তৈরীর সময় প্রেসার কুকারের ভেতরের অংশটি বিশুদ্ধ ফুডগ্রেড অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি করা হয়। এছাড়া প্রেসার কুকারের ঢাকনাটি শক্তিশালী এবং টেকসই করা হয়ে থাকে। ওয়ালটন প্রেসার কুকারের সমস্ত মডেলেই রয়েছে সুরক্ষা লক, যা প্রেসার কুকারটি খোলার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আবার কোন কোন মডেল-এ রয়েছে টাইমার সুইচ, যা রান্নার সময় নির্ধারণে সাহায্য করে।
Walton ব্লেন্ডার মেশিন
ওয়ালটন বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের ব্লেন্ডার মেশিন তৈরি করে যার মধ্যে রয়েছে সাধারণ ব্লেন্ডার, জ্যুসার, এবং মাল্টিপারপাস ব্লেন্ডার মেশিন। এই ব্র্যান্ডের ব্লেন্ডার মেশিনের গুণগত মান তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য কোম্পানির ব্লেন্ডার মেশিনের চাইতে অনেক গুণে ভালো। এ কারণেই ওয়ালটন ব্লেন্ডার মেশিনের কদর দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Walton ওয়াশিং মেশিন
ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিনের বডি এবং ট্যাঙ্ক উচ্চ মানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। ফলে এর টেকসই অনেক গুণ বেশি। এছাড়া এই মেশিনে শক্তিশালী মোটর ব্যবহার করার কারণে সহজেই এই মেশিন ওয়াশিং কার্য নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে। এই মেশিনের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আবার এই ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিনের অনেক মডেলই রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা কাপড় থেকে জীবাণু দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
উপসংহারে আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশের প্রযুক্তির বাজারে ওয়ালটন বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল নাম। নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য উদ্ভাবনের প্রতি প্রতিশ্রুতি, পণ্যের বিস্তৃত পরিসর এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ কৃত walton brand শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ইতিমধ্যে নতুন মানদন্ড স্থাপন করেছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, হোম অ্যাপ্লায়েন্স বা টেলিভিশন যাইহোক না কেন ওয়ালটন বাংলাদেশ এমন পণ্য উৎপাদন করে; যা গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তি পণ্যের চাহিদা ও পছন্দ পূরণ করতে সক্ষম। এই ব্র্যান্ডটি তার প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যাত্রা অব্যাহত রাখলে নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের প্রযুক্তি পণ্যের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে এর পরিষেবা দেশের বাহিরে বিস্তৃতি লাভ করতে পারে এবং প্রযুক্তি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারের স্থান করে নিতে সক্ষম হবে।