বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ ও বাংলাদেশের বিপিএল

ভূমিকা

যেকোনো খেলা ধুলার অন্যতম লক্ষ্য বৈশিষ্ট্য হলো দর্শকদেরকে অবিরত বিনোদন ও আনন্দ দান করা। ক্রিকেট খেলা একটি দীর্ঘ সময়ের খেলা। এই ক্রিকেট খেলা বিশ্বব্যাপী দর্শকদেরকে অবিরত আনন্দ দিয়ে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এই খেলাটি খেলা হয় বলে অনেকের সময় থাকে না, এই খেলাটিকে পুরোপুরি উপভোগ করার জন্য। তাই এই খেলাটির আর একটি ভার্সন হল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হল- একটি উচ্চচাপের এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন ক্রিকেট খেলা, যা ২০ ওভারে খেলা হয়ে থাকে। আজকের নিবন্ধে টি-টোয়েন্টি খেলা বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা নিয়ে আলোচনা থাকছে। এই নিবন্ধন থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এর উৎপত্তি কিভাবে, কোন কোন দেশে খেলাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং টি-টোয়েন্টি খেলায় বাংলাদেশ এর আদ্যপ্রান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জনপ্রিয়তার কারণ

প্রচন্ড উত্তেজনা, চাপ ও দ্রুতগতির ক্রিকেট খেলাটি-টোয়েন্টি খেলা। প্রতি দলে ২০ ওভার করে খেলা হয়। তেমনি প্রতি দল ২০ ওভার ব্যাট করে এবং অভার প্রতি ৬টি করে বল থাকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা খুব দ্রুত এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এটিকে উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও খেলার জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। এটি ক্রিকেটের অন্যান্য ফর্মেটের তুলনায় বেশি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই টি-টোয়েন্টি খেলা অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকদেরকে প্রচুর আনন্দ ও বিনোদন দিতে পারে, বিধায় এই খেলা খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

টি-টোয়েন্টি খেলার শুভ সূচনা হয় কোন দেশে

টি-টোয়েন্টি খেলার শুভ সূচনা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড (এসএসসিবি)একটি নতুন ফর্মেটে ক্রিকেট খেলার পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে। এই নতুন ফরমেটে প্রতি দল ২০ ওভারে ব্যাট করতে পারে এবং প্রতি ওভারে ৬টি করে বল থাকে। ১৯৯৮ সালে এসএসসিবি “দক্ষিণ আফ্রিকান টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ’ নামে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। এই টুর্নামেন্টটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল(আইসিসি) টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলাকে স্বীকৃতি দেয়। প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন- এ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দ্রুতই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। এটি ক্রিকেটের অন্যান্য ফর্মেটের তুলনায় বেশি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হয়। এই খেলার জন্য একটি ছোট মাঠের প্রয়োজন হয়। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে টি-টোয়েন্টি খেলার শুভ সূচনা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে ক্রিকেট খেলা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় সংগঠন আইসিসি এর স্বীকৃতি প্রাপ্ত হওয়ার পরপরই এই খেলাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ ও বাংলাদেশের বিপিএল


বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচগুলো হল-

আই পি এল- ভারত

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ হল- ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, যা সংক্ষেপে আইপিএল নামে পরিচিত। ২০০৮ সালে শুরু হয় আইপিএল। প্রথম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল এবং টুর্নামেন্ট শেষ হয় ২৪ শে মে। এই আসরে সর্বমোট আটটি দল অংশগ্রহণ করে। আইপিএল এর প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হলো “রাজস্থান রয়্যালস’। আইপিএল এর প্রতিটি ম্যাচ অত্যন্ত উত্তেজনা পূর্ণ এবং সাথে সাথে জনপ্রিয় বটে। তবে ক্রিকেট মৌসুমে কিছু নির্দিষ্ট ম্যাচ বা সিরিজ আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যেমন আইপিএল- এর ফাইনাল ম্যাচ,সেমিফাইনাল ফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ, চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচ ইত্যাদি।

পিএসএল- পাকিস্তান

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি- টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ হল- এর নাম পিএসএল বা পাকিস্তান সুপার লিগ। পাকিস্তান সুপার লিগের প্রতিটি ম্যাচ অত্যন্ত জনপ্রিয় বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচ হয়ে থাকে আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য। এছাড়া জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের খেলা ম্যাচ এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী করাচি কিংস ও লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচগুলো সমানভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
 

বিবিএল- অস্ট্রেলিয়া

বিগ ব্যাস লিগ বা বিবিএল (big bash league- australia) হল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ। অস্ট্রেলিয়ান এই  BBL এর প্রতিটি ম্যাচই অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল সিডনি সিক্সার্স ও মেলবোর্ন রেনেগেডসের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচ, সেমিফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনাল, ফাইনাল ম্যাচগুলো দারুনভাবে আকর্ষণীয় হয়।

LPL-শ্রীলংকা

শ্রীলংকার জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ এর নাম LPL বা লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ। এই লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ এর প্রতিটি ম্যাচও অন্যান্য প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের মতোই বেশ জনপ্রিয়। কারণ এখানেও জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ থাকে। এই প্রিমিয়ার লীগের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল কলম্বো কিংস এবং গ্যালে গ্যালাক্সির মধ্যে উত্তেজনা পূর্ণ ইনিংস অনুষ্ঠিত হয়।

HQC- ইংল্যান্ড

হাই কোয়ালিটি কাপ ইংল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি টুয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ। এই প্রিমিয়ার লিগ কে সংক্ষেপে HQC(এইচকিউসি) বলা হয়ে থাকে। ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় এই প্রিমিয়ার লিগ এর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলা গুলো দারুণভাবে উপভোগ করেন দর্শকরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ল্যাঙ্কাশায়ার ফ্যালকন্স এবং নটিং হ্যামশায়ার ফোকসেস এর মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচ, জাতীয় তারকা ক্রিকেটারদের সম্মিলিত ম্যাচগুলো দুর্দান্ত উপভোগ করেন দর্শকরা।

এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশেও টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিপিএল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিএসএল, দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপিএক্সএল ইত্যাদি। এই প্রিমিয়ার লিগগুলো দিনকে দিন আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং ক্রিকেট ভক্তদেরকে অনাবিল আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বিপিএল বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ

বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লীগের নাম হল- “বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএল’ যা শুরু হয় ২০১২ সালে। এই বিপিএলের প্রথম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এবং টুর্নামেন্ট শেষ হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি। এই আসরে সাতটি দল অংশগ্রহণ করে এবং ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস বিপিএল আসরের প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়।

বিপিএল এর খেলাগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনা করে থাকে। এখন পর্যন্ত BPL- এর ইতিহাসে দশটি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আসর গুলিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের অনেক বিখ্যাত ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রথম আসর

বিপিএলের প্রথম আসরের উদ্বোধন হয় ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয় হোম অফ ক্রিকেট খ্যাত মিরপুরের শের- এ-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এই আসরে অংশগ্রহণ করে মোট ছয়টি দল। আসরের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয় ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ফাইনাল খেলাটি হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি। ছয়টি দল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হোম আর অ্যাওয়ে হিসেবে একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে খেলায় অংশগ্রহণ করে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা চারটি দল পরবর্তীতে নকআউট রাউন্ডে খেলে। খুলনা রয়েলস, দুরন্ত রাজশাহী, বরিশাল বার্নারস সেমিফাইনালে উঠে। তাই ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস বিপিএল আসরের প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়।

দ্বিতীয় আসর
বি পিএল- এর দ্বিতীয় আসর শুরু হয় ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮ জানুয়ারি। এই টুর্নামেন্টে সাতটি দল অংশগ্রহণ করে। এবছর প্রথমবারের মতো খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বিপিএল এর ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বমোট ৪৬ টি ম্যাচের মধ্যে ২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে, ১০ টি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এবং ৮টি শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম স্টেডিয়ামে। ফাইনাল ম্যাচে চিটাগাং কিংসকে ৭৩ রানে হারিয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা জয় লাভ করে।

তৃতীয় আসর
ডিপিএল-এর তৃতীয় আসরে অংশ গ্রহণ করে রংপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম। ২০১৫ সালে বিপিএল এর তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালের টুর্নামেন্টটি ২২ শে নভেম্বর শুরু হয়ে ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়। তৃতীয় এই আসরের চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

চতুর্থ আসর
২০১৬ সালে বিপিএল এর চতুর্থ টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়। ৪ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটি বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই দিনের চারটি ম্যাচ বাতিল হয়ে যায় ও পরে ৮ নভেম্বর পুনরায় আরম্ভ করা হয়। ২০১৬ এর বিপিএল টুর্নামেন্টে রাজশাহী কিংসকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকার ডায়নামাইটস। এ বছরের টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে ৯ ডিসেম্বর।

পঞ্চম আসর
বিপিএল এর পঞ্চম আসরটি ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্বরে শেষ হয়। এই আসরে ঢাকার ডায়নামাইটসকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে রংপুর রাইডার্স। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম এই তিনটি ভেনুতে সর্বমোট ৪৬ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর রংপুর রাইডার্স সর্বোচ্চ ১৬ জন খেলোয়াড় কিনে নেয়।

ষষ্ঠ আসর
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিপিএল এর আসরে অংশগ্রহণ করে সাতটি দল যা শুরু হয় ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা জনিত কারণে এমনটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আসরের ফাইনাল খেলায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৭ রানে পরাজিত করে শিরোপা তাদের নিজের ঘরে তোলে।

সপ্তম আসর
বঙ্গবন্ধু বিপিএল নামে বিপিএল এর সপ্তম টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর এবং ৬ ডিসেম্বর খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১১ ডিসেম্বর খেলা শুরু করা হয় এবং ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি তারিখে এই আসরের পর্দা নামে। ফাইনাল খেলায় ২১ রানে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজশাহী রয়্যালস। তিনটি ভেনুতে সর্বমোট ৪২ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এই আসরে এবংএবং মোট সাতটি দল অংশগ্রহণ করে।

অষ্টম আসর
বিপিএল এর ইতিহাসে অষ্টম টুর্নামেন্টেটি অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। এই আসরে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা অর্জন করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই আসর থেকেই ডিপিএল এর খেলা পরিচালনার নীতিমালা ব্যাপকভাবে সংশোধন ও পরিবর্ধন করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন