অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অনেকগুলো উৎস রয়েছে। সাধারণত এই সকল উৎস থেকে মানুষ বিভিন্ন ভাবে অনলাইন আয় সম্পূর্ণ করে চলেছে। এই সকল উৎস গুলির মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং দক্ষতা, প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা এবং সময় অনেকটাই নির্ভরশীল। আজকের আর্টিকেলে সাধারণত মানুষ কোন কোন উৎস থেকে অনলাইন আয় পরিচালনা করছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে। আপনারা যারা অনলাইনে অর্থ আয়ের কথা ভাবছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। অনলাইন আয় এর প্রধান প্রধান উপায় গুলোর মধ্যে ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পণ্য ও সেবা বিক্রি, ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আর্নিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং, ই-বুক লেখা এবং তা বিক্রয় করে কিভাবে অর্থ আয় করা যায় সেই সম্পর্কে চলুন জেনে নেই।
ই কমার্স সাইটে পণ্য ও সেবা বিক্রি করা
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া সোসাইল মিডিয়া (ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম) এর মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী ও সেবা বিক্রয় করা হয়ে থাকে।
পণ্য বিক্রয়
অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আপনি অনলাইনে পণ্য খুব সহজে বিক্রয় করতে পারবেন।
১. পরিকল্পনা- অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনাকে যথাযথ পরিকল্পনা করতে হবে। এজন্য আপনি আগে ভাবুন অনলাইনে কি পণ্য বা সেবা সামগ্রী বিক্রি করতে চান সেই সম্পর্কে। আপনার পণ্যের বিবরণ, নাম, ঠিকানা, মূল্য ইত্যাদি লিখে আপনার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে অথবা সোসাইল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি প্রদর্শন করুন;
২. শপিং কার্ড সফটওয়্যার- আপনার গ্রাহকদের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে উপস্থাপিত পণ্যগুলি দেখার সুযোগ করে দিন এবং তাদের পছন্দের জিনিসগুলি বেছে নিতে এবং কিনতে উৎসাহিত করুন;
এই উপায় গুলো আপনাকে অনলাইনে পণ্য সামগ্রী বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।
সেবা সামগ্রী বিক্রয়
ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অনলাইন সেবা বিক্রি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এরপর সেই ওয়েবসাইটে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যুক্ত করবেন, সেই পন্য সম্পর্কিত ছবি আপলোড করবেন এবং সেবা সামগ্রীর মূল্য সেট করবেন। এছাড়া আপনাকে মূল্য পরিশোধের জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে সেটাপ করতে হবে, যাতে গ্রাহকরা সেবা সামগ্রী সহজে ক্রয় করতে পারেন।
এরপরে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন। এই জন্য আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ মার্কেটিং, গুগলে মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং অন্যান্য বিপণন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হতে পারে।
গ্রাহকরা আপনার ই-কমার্স সাইটে সেবা সামগ্রী কিনতে চাইলে তাদের অর্ডার গ্রহণ করে এবং পেমেন্ট করতে হবে। আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পণ্য বা সেবা কিনতে চাইলে গ্রাহকদেরকে সেই পণ্য সামগ্রীর মূল্য পরিশোধ করতে হবে। আপনার পক্ষ থেকে সেই সেবা সামগ্রী গ্রাহকের নিকট পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এভাবেই আপনি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অনলাইন সেবা বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি সঠিক ভাবে মার্কেটিং পদ্ধতি এবং গ্রাহক সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ই-কমার্স ব্যবসা বা অনলাইন সেবা অল্প সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত লক্ষ্যেই পৌঁছে দিবে আপনাকে।
ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ব্লগিং
ব্লগিং হলো একটি উপায় যাতে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে মূল্যবান তথ্য, পরামর্শ, বিষয় বা অভিজ্ঞতা অপরের নিকট শেয়ার করতে পারেন। আপনি আপনার ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করতে পারেন, অথবা ব্লগ পোস্টে লিংক যুক্ত করে পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি পণ্য বা সেবার প্রচার পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্যদের পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন এর মাধ্যমে অর্থ আয় করতে পারেন। আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিটি বিজ্ঞাপনের জন্য অ্যাফিলিয়েট লিংক পাবেন এবং যখন কেউ আপনার সেই লিংক এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে, তখন আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
উপরে উল্লেখিত এই দুটি উপায় এর মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। একটি সঠিক স্ট্রটেজি অনুসরণ করে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে সঠিক গুণগত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ও আপনার অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে আপনি অনলাইন থেকে একটি ভালো মানের আয় অর্জন করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বর্তমান সময়ের একটি অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের একটি টপিক। যেহেতু ওয়েবসাইট একটি প্রতিনিধিত্বক হিসেবে কাজ করে, তাই এটি অনলাইন প্রাধান্য অর্থ উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে সেগুলোর সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এটি অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে এবং কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ সুবিধা প্রদান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এইসব সেক্টরে অনেকগুলো টপিক রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র একটি টপিক নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অনলাইন অর্থ উপার্জন করতে পারবেন আপনি। এই সকল টপিক গুলোর মধ্যে ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা , ওয়েব রেজিস্ট্রেশন, ওয়েবসাইট সিকিউরিটি, ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই সকল টপিক বা নিজে নিজে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন অথবা দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এই সেক্টরের একজন প্রোগ্রামার হিসেবেও কাজ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং
ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হল একটি নির্দিষ্ট পেশা যেখানে আপনি কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বরং প্রজেক্ট বা প্রকল্প ভিত্তিক কাজ করতে পারেন এবং সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন। এজ এ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পেয়ে যাবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিএফএক্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি সেক্টর থেকে প্রচুর অর্থ আয় করছে এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের পথকে সহজ করে তুলছে। ফ্রিল্যান্সারদের এই সকল প্রযুক্তি নির্ভর কাজের জন্য দিনকে দিন প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিধি অত্যন্ত সহজ ও সংকুচিত হয়ে আসছে, ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ব্যয় কমে আসছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অবদান লক্ষ্য করার মত। বিভিন্ন তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে বলা যায়, প্রতি বছর দেশের ফ্রিল্যান্সাররা প্রায় ১০ কোটি ডলার দেশের অর্থনীতির সাথে যোগ করে থাকেন অর্থাৎ দেশের ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি ডলার আয় করে থাকেন। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে মনে রাখতে হবে প্রথমের দিকে আপনার আয় একটু কম হতে পারে। তবে ধৈর্য এবং সময় নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং থেকে একটি ভালো মানের আয় উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি কোম্পানি তাদের নিজেদের প্রকল্পের কাজ বা প্রকল্পের কাজের কিছু অংশ অন্য কোন কোম্পানি বা ব্যক্তির সাথে সহযোগিতা করে সম্পাদন করে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণভাবে কার্যসম্পাদন খরচ ও সময় উভয়ই কমিয়ে দেয় ফলে উভয় পক্ষই উপকৃত হয়ে থাকে।
এই প্রক্রিয়াতে কর্মীরা সাধারণভাবে দূর কোন দেশে বা বিদেশে থাকেন এবং তাদের কাজ ইন্টারনেট বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন করে থাকেন। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্য সম্পাদনের জন্য শ্রম, সময় এবং অর্থব্যয় কমাতে পারে এবং কর্মীদের প্রয়োজনীয় পারিশ্রমিক প্রদান খুব সহজে করতে পারে।
সামাজিক মিডিয়ায় মার্কেটিং
বর্তমানে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর পণ্য সামগ্রীর প্রচার এবং প্রসারের জন্য সামাজিক মিডিয়া বা সোশাইল মিডিয়া মারকেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তরোত্তর সফলতা মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রসারনার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। কারণ আপনার প্রতিষ্ঠানের ফিজিক্যাল পণ্য বা ডিজিটাল পণ্য যেটিই উৎপাদন করেন না কেন, সেটিকে বিক্রয়ের জন্য আপনাকে যথাযথ ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর সেটি না করতে পারলে আপনার প্রতিষ্ঠান কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে। এই পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- Facebook, Twitter, Linkdin, Instagram, Reddit ইত্যাদি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য প্রচার বা মার্কেটিং পরিচালনা করতে হবে, যাতে করে আপনি অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে আপনার পণ্য ও সেবা সামগ্রী কাঙ্খিত ভোক্তাদের নিকট খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারেন। আর এই কাজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো আপনাকে সহযোগিতা করবে।
এই সেক্টরেও কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, গুগল মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং ইত্যাদি। এই সকল মিডিয়াতে কাজ করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে-
১। প্রোফাইল তৈরি- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রোফাইল তৈরি করে আপনার উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা গুলোর বিবরণ লিপিবদ্ধ করতে পারেন;
২। নিয়মিত পোস্ট- আপনার নির্দিষ্ট প্রোফাইলে পণ্য বা পরিষেবার সম্পর্কে নিয়মিত পোস্ট করতে থাকুন;
৩। কনটেন্ট বিশ্লেষণ- আপনার পোস্টগুলো কোন ধরনের কনটেন্ট এবং আপনার অনুসারীরা সবচেয়ে কিসে আকর্ষণীয় হয়, সেই সম্পর্কে আপনি কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং সেগুলো পোস্ট করুন;
৪। বিজ্ঞাপন প্রদান- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্লাটফর্মে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স খুঁজে বের করুন এবং তাদের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার করুন;
৫। সামাজিক মিডিয়া ক্যাম্পেইন পরিচালনা- বিশেষ অনুষ্ঠান দিবস এবং জাতীয় উৎসবগুলোর জন্য সামাজিক মিডিয়া ক্যাম্পেইন পরিচালনা করুন এবং টার্গেটেড কাস্টমার দের নিকট পণ্য ও সেবা সামগ্রী সেল করুন।
সাধারণত এই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের প্রতিষ্ঠান অথবা ক্লাইন্টের প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে পারেন এবং সেখান থেকে রেভিনিউ জেনারেট করতে পারেন।
ই-বুক লেখা এবং সেলিং করা
ই-বুক হল ইলেকট্রনিক বই বা অনলাইন বই যা ইন্টারনেটে ঢুকে পাঠ করা যায়। ebook কিনতে হলে আপনাকে বিভিন্ন সাইটে গিয়ে সেটি কিনে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এছাড়া কিছু সাইট রয়েছে যেখানে গিয়ে আপনি খুব সহজে বই পড়ে ফেলতে পারেন।
এখানে প্রশ্ন হচ্ছে ই বুক লিখে কিভাবে আপনি অনলাইন অর্থ আয় করতে পারেন? একটু আগেই বলেছি ইন্টারনেট এর বিভিন্ন সাইটে গিয়ে আপনি বই কিনতে পারেন অথবা বই পড়তে পারেন।
ইন্টারনেটের সেই সকল সাইটগুলোতে আপনি লেখালেখি করতে পারেন এবং অর্থ রোজগার করতে পারেন। কি লিখবেন আপনি? আপনি এই সকল প্লাটফর্মে বিভিন্ন রকমের গল্প, কবিতা, উপন্যাস ইত্যাদি লিখে স্টক করে রাখতে পারেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মে আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে এবং প্রোফাইল তৈরি করে সেখানে আপনার লেখাগুলো আপলোড করতে হবে। ই-বুক লিখে এবং বিক্রয় করে আয় করার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেগুলো হল-
১. ই-বুক লেখা- আপনি বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস কথাসাহিত্য নন-ফিকেশন বই, কোচিং গাইড ইত্যাদি লিখে সেগুলো আপনার প্রোফাইলে সাজাতে পারেন;
২. ই-বুক প্রকাশ- ই-বুক প্রকাশ করার জন্য আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারেন, যেমন
আমাজন কিন্ডল ডায়রেক্ট পাবলিশিং, স্ম্যাশওয়ের্ডেস, অ্যাপল বুকস ইত্যাদি;
৩. মার্কেটিং এবং প্রচার- ই-বুক লেখা এবং তা প্রকাশের পর মার্কেটিং করার জন্য তা প্রচার করতে হবে, এজন্য আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মারকেটিং e mail marketing, blogging, sms ইত্যাদি পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন;
এই উপায়গুলো ই বুক লেখা এবং সেগুলো বিক্রয় করে অনলাইন অর্থ আয় আপনার জন্য একটি উন্নতম সেরা উপায় হতে পারে।
ই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা
ই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দিনকে দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিশেষ করে কিছু ইউরোপীয় শহরের মধ্যে এই ব্যবসাটি অত্যান্ত আকর্ষণীয়। অনলাইনে এই ব্যবসা করেও আপনি অর্থ উপার্জনের পথকে সুগম করতে পারেন। এই ব্যবসার প্রাথমিক ধাপ হলো আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইটে আপনার (ক্লায়ান্টের) সম্পত্তির ছবি, সম্পত্তির মূল্য, বিবরণ, অবস্থান ইত্যাদি তথ্য সরবরাহ করলে বায়াররা সহজেই আকর্ষণীয় হবেন।
এরপর আপনাকে একটি ইমেইল লিস্ট তৈরি করতে হবে, যে লিস্টের মধ্যে শুধুমাত্র সম্পত্তি ক্রয় ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের নাম ঠিকানা সহজে খুজে বের করা যায়। এছাড়া বিজ্ঞাপনের সময়ও তাদের কাছে সহজে প্রচারণা চালানো যায়। সেই জন্য এই ইমেইল লিস্টের প্রয়োজন হবে।
রিয়েল এস্টেট ক্রয় ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিকট বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট বিক্রি করে আপনি ভালো মানের রেভিনিউ জেনারেট করতে পারেন।
এছাড়া একটি ব্লগের মাধ্যমেও এস্টেট ব্যবসার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরামর্শ সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমেও আপনি অনলাইন অর্থ উপার্জন করতে পারেন
ই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সাধারণত ইউরোপের কিছু জনপ্রিয় শহরগুলোতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়, বিশেষ করে লন্ডন, বার্লিন, প্যারিস ইত্যাদি শহর। এই সকল শহরগুলিতে আবাসিক বাণিজ্যিক প্রপার্টি, হোটেল, অফিস স্পেস ইত্যাদি আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য ই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয়।
কাজেই উপরোক্ত বিষয়টি অনুসরণ করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের প্রক্রিয়া গ্রহণ করে, আপনি ই-রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং আপনার অনলাইন অর্থ আয়ের পথকে সুপ্রশস্ত করতে পারেন।
অনলাইন অর্থ আয় সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্লাটফর্ম অনলাইন অর্থ আইয়ের জন্য আপনি নিম্নলিখিত প্ল্যাটফর্ম গুলো ভিজিট করতে পারেন
এগুলি হলো কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি অনলাইনে কাজ করে আয় করতে পারেন। এই সাইটগুলি আপনাকে বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় এবং এই প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি ঘরে বসে কাজ করে অর্থ আয় করতে পারেন। আশা করি এই তথ্য আপনার কাছে সহায়ক হবে।
উপসংহারে বলা যায় আপনি অনলাইন অর্থ আয়ের জন্য যে নিস বা টপিক বেছে নিন না কেন, আপনি রাতারাতি অনলাইন থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে সময় এবং ধৈর্য ধরতে হবে আপনার নির্বাচিত বিষয়ে বা টপিকের উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে তাহলেই শুধুমাত্র আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
আরো জানতে- কিভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি করা যায়